শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
ক্রাইম সিন ডেস্ক: বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় তিন দিনে পাগলা কুকুড়ের কামড়ে নারী শিশুসহ ১৬ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছ। পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়টেংড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. খালিদ মাহমুদ আরিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে এক নারী ও এক শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের রেজিস্টার থেকে জানা গেছে, গত রোববার থেকে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৬ জন আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর মধ্যে রিফাত (৪) ও নাছিমা বেগম (৩৫) নামের দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত শিশু রিফাতের মা রুপা আক্তার জানান, গত রোববার দুপুর ২ টার দিকে তাদের ঘরের পাশের তার চাচার ঘর থেকে বের হয়ে নিজের ঘরে আসার সময় এক পাগলা কুকুর তার ছেলে রিফাতের উপর আক্রমন করে। এ সময় কুকুরটি তার ডান পা ও ডান চোখের উপরে কামড় দিয়েছে। রিফাতের চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর আহত নাছিমা বেগম জানান, দুপুরে ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই একটি কুকুর তাড়া করে হাতে ও পায়ে কামড় দিয়েছে। গ্রামে কুকুরের উপদ্রপ বেড়ে গেছে। এগুলো যদি নিয়ন্ত্রনে না আনা যায় তবে অনেকেরই এমন অবস্থা হতে পারে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছি। শিশুটির আবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। আইনে কুকুর হত্যা করার বিধান নেই, তাই কুকুর নিধন করা যায় কিনা সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা হবে।
পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খালিদ মাহমুদ আরিফ জানান, গত দুদিনে প্রায় ১৬জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ বছরের এক শিশু ও এক নারীর আবস্থা গুরুতর। তাদেরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।